২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
বগুড়ার শেরপুর অবাধে চলছে আবাদি জমি খনন \ হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি!

বগুড়ার শেরপুর অবাধে চলছে আবাদি জমি খনন \ হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি!

আরিফুল ইসলাম, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে উপজেলার পানিসাড়া হিন্দুপাড়ায় আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে আবাদি কৃষি জমি খনন করে পুকুর তৈরি ফলে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি। পুকুর খননের ফলে বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা, দৃষ্টি দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের পানিসাড়া হিন্দুপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী” আব্দুল খালেক” এর ১০/১১বিঘা আবাদি কৃষি জমিতে বেকু দিয়ে মাটি খনন করে পুকুর নির্মাণ এর কাজ চলছে। ফলে স্থানীয় কৃষকরা পরেছেন মহা বিপাকে। আবাদি কৃষি জমি খনন করে পুকুর নির্মাণের প্রসঙ্গে পানিসাড়া গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, এই খননাধীন জমির পাশেই আমার ২০ শতাংশ ধানী জমি আছে, পাশে পুকুর হলে জমিতে জলাবদ্ধতা হবে ফলে আমার ধানী জমির উৎপাদন কমে যাবে। আবাদি কৃষি জমি পুকুর খননকারী প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমরা কিছু বলতে পারছি না।
পানিসাড়ার হিন্দুপাড়ার সহাদেব চন্দ্র সরকার বলেন, খননাধীন এই পুকুরের পাশে আমাদের ৬ ভাই এর পৈত্রিক ৫ বিঘা ধানী জমি রয়েছে, এখানে পুকুর খনন হলে আমাদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের্^র জমির পানি পশ্চিমে পাশর্^ দিয়ে গড়ে। খননাধীন জমি পশ্চিমে হওয়ার কারণে পানি গড়ার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে ফলে জলাবদ্ধতা হবে ফসলের উৎপাদন কমবে। এছাড়াও খননাধীন জমির মাঝখান দিয়ে আন্যনা জমিতে যাতায়াতের প্রধান আইল বা (সড়ক), এই জন্য খননাধীন জমি চারিদিকে থাকা আন্যনা মালিকের প্রায় ২০ বিঘা আবাদি কৃষি জমিতে যাতায়াতের সমস্যা হবে।
এ প্রসঙ্গে খননাধীন জমির মালিক আব্দুল খালেককে পুকুর খননের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিতো কোনো অনুমতি নেইনি, কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি?
এবিষয়ে মুঠোফোনে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন উপজেলা ভূমি অফিস। এ ব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তরের কোনো কিছু করনীয় নাই।
এব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ মুঠোফোনে বলেন, আমরা পুকুর খননের কোনো অনুমতি দেইনি বলে তিনি মোবাইল কেটে দেন। পরর্বতীতে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019